জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizen Party) উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম শুক্রবার (৯ মে) সকালে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আর কোনো ধরনের গড়িমসি মেনে নেওয়া হবে না। যমুনার সামনে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জুমার আজানের পর থেকেই মিছিলসহ চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হবে।
তিনি জানান, জুমার নামাজ ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের সড়কে আদায় শেষে আন্দোলনকারীরা মঞ্চের দিকে এগোবেন। সেখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেবেন, সঙ্গে থাকবেন জুলাইয়ের শহিদ পরিবার ও আহতরা।
আন্দোলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক দল জাগপার (JAGPA) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধানসহ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
সকাল ১০টার পর থেকে যমুনার সামনে আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ‘সাড়া বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘গোলামী না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে বিচার কর’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’—এমন উত্তপ্ত স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পুরো এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে কাছ থেকে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা যমুনার সামনেই অবস্থান চালিয়ে যাবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে লাগাতার অবস্থান চলবে। তার বক্তব্য ছিল, “যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সঙ্গে আমরা নাই।”
সমগ্র ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনকারীদের আবেগ তীব্র হয়ে উঠেছে এবং সামনে উত্তপ্ত সময়ের ইঙ্গিত মিলছে।