সরকারি দপ্তর ও বিদেশি মিশনে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখা নিয়ে সম্প্রতি আলোচনার সৃষ্টি হলেও, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই এই বিষয়ে ‘জিরো পোট্রেট’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার (Abul Kalam Azad Majumder)।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে আজাদ মজুমদার লেখেন, “সরকারি দপ্তরে পোট্রেট ব্যবহার শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার নিরুৎসাহিত করছে। অলিখিতভাবে ‘জিরো পোট্রেট’ নীতি বজায় রেখেছে। তারপরও কেউ কেউ সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করেছেন। সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে এমন কোনো লিখিত নির্দেশনা কোনো দপ্তর কিংবা মিশনকে দেওয়া হয়নি।”
তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করা হয় যে, কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক আদেশ বা সার্কুলার এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা মিশনকে পাঠানো হয়নি। তিনি বলেন, এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা, যা অন্তর্বর্তী সরকারের একটি মৌলিক নীতি হিসেবেই গৃহীত হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই ছবি সংক্রান্ত বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। এই প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার লিখেছেন, “তারপরও দেখা যাচ্ছে আজ এটা নিয়ে বাজার গরম করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার পর রাজনীতি নিয়ে ঘোঁট পাকানোর সুযোগ কমে আসছে। কাটতি ধারে রাখার জন্য ছোটখাটো অনেক বিষয়কেও এখন তাই পাহাড়সম করে তোলা হচ্ছে।”
তার এই বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, নির্বাচনের সন্নিকটে আসার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বা জনমত প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে নিরপেক্ষ সরকারের স্বাভাবিক নীতিগত বিষয়গুলোকেও বিভ্রান্তিমূলক আলোচনায় পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি টাঙানোকে অনেক সময় রাজনৈতিক আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এরকম চর্চা থেকে দূরে থাকার বিষয়টি অনেকটাই অনানুষ্ঠানিক নীতির অংশ হিসেবে পালন করা হয়।