দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে সাধারণ পুলিশ (Police) সদস্যদের কাছে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (Lt Gen (retd.) Md. Jahangir Alam Chowdhury) এ ঘোষণা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের কাছে থাকা বর্তমান মারণাস্ত্রগুলোও ফেরত নেওয়া হবে। মারণাস্ত্র বহনের অধিকার এখন শুধু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) (Armed Police Battalion – APBN) সদস্যদের থাকবে। তিনি জানান, এপিবিএন-এর কার্যক্রম ও দায়িত্ব অন্যান্য সাধারণ পুলিশের চেয়ে ভিন্ন, ফলে শুধু তাদেরকেই এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) (Rapid Action Battalion – RAB) পুনর্গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এজন্য পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা র্যাবের কাঠামোগত সংস্কার এবং কর্মপদ্ধতির উন্নয়নে কাজ করবে।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। বিশেষ করে পশুবাহী ট্রাক এবং কোরবানির হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাট ইজারাদারদের নিজস্ব খরচে ১০০ জন আনসার সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি ও ছিনতাই রোধে যৌথ বাহিনী মাঠে থাকবে এবং পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
শ্রমিকদের ঈদ উপলক্ষে বেতন-বোনাস সময়মতো পরিশোধের ব্যাপারে গার্মেন্টস মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো প্রকার শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি না হয়।
এছাড়া সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও উপদেষ্টা কথা বলেন। তিনি জানান, ভারতীয় বিএসএফ (Border Security Force – BSF) কর্তৃক পুশইনের শিকার অধিকাংশ মানুষই বাংলাদেশের নাগরিক, বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।