ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron) এক অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের সময়। ভিয়েতনামে পৌঁছানোর পর বিমানে স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ (Brigitte Macron)-এর সঙ্গে এক তীব্র বিবাদের ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বিমান অবতরণের ঠিক পর, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ হাস্যোজ্জ্বল মুখে বিমানের দরজার দিকে এগোচ্ছেন। এমন সময়, লাল পোশাক পরা এক নারী আচমকা তার মুখে আঘাত করেন—যা দেখতে অনেকটা থাপ্পড়ের মতো। এ ঘটনায় স্পষ্টতই চমকে যান ম্যাক্রোঁ এবং সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নিজেকে ক্যামেরা আড়াল করে বিমানের দরজার সামনে থেকে সরে যান।
এর কিছুক্ষণ পর বিমান থেকে নেমে আসেন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী। দর্শকদের সন্দেহ দূর হয় না, কারণ দেখা যায়, ব্রিজিতই ছিলেন সেই লাল পোশাকধারী নারী। বিমান থেকে নামার সময় প্রেসিডেন্ট হাত বাড়ালেও স্ত্রী ব্রিজিত তা প্রত্যাখ্যান করেন—দৃশ্যটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
প্রথমদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দপ্তর বিষয়টি নিয়ে নীরবতা পালন করে। তবে ঘটনাটি যখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পায়, তখন প্রেসিডেন্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়—ভিডিওটি ভুয়া এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা।
তবে এই দাবি একরকম উড়িয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। ফ্রান্সের খ্যাতনামা দৈনিক লা মনডে (Le Monde), টিভি চ্যানেল বিএফএমটিভি (BFMTV), এবং ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি এক্সপ্রেস (Daily Express) ও দ্য ইউএস সান (The US Sun) প্রত্যেকে ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এই ঘটনার পর থেকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিতের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন এটি নিছক পারিবারিক কলহ, আবার কেউ দেখছেন এর রাজনৈতিক প্রতিফলন।
ফরাসি রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে এমন ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জনসমক্ষে প্রকাশ, এবং তা ভিডিওর মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া, প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মত দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।