ভেঙে পড়ছে রাষ্ট্রযন্ত্র, তবুও ড. ইউনূস অনমনীয়: অহংকার না কৌশল?

ঢাকা: দেশের প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে যেন আগুন জ্বলছে। বিদ্রোহ, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ—সব কিছু যেন একসাথে বিস্ফোরিত হচ্ছে। এমনকি যেসব ব্যবসায়ী এতদিন চুপ থেকে সরকারের সঙ্গে কাজ করে এসেছেন, তারাও এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তাদের কণ্ঠে বিরোধী সুর, যা অনেকের কাছে অচেনা ও অভূতপূর্ব।

অন্যদিকে বিএনপির আদর্শিক নেতৃত্ব আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে। সম্প্রতি এক পরিচিত অনলাইন ব্যক্তিত্ব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তার তুলনা করেছেন পুরুষাঙ্গের সঙ্গে—অবশ্যই এটি অশোভন, কিন্তু একইসাথে বর্তমান রাজনৈতিক আবহের কড়া প্রতিফলন।

দেশের শীর্ষ রাজস্ব সংস্থা এনবিআরের কর্মকর্তারা সরকার কর্তৃক গঠন কাঠামো বিলুপ্ত করার পর ধর্মঘটে নেমেছেন। কাস্টমস কর্মকর্তারাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। জন প্রশাসনে জবাবদিহিতা জোরদারের নতুন আইন কার্যকর হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যেও উন্মুক্ত বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক অবস্থান বেসামরিক সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা একটি বড় ধরনের সাংবিধানিক সংকটের ইঙ্গিত দেয়। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দেশব্যাপী ধর্মঘটে যাচ্ছে স্কুলশিক্ষকরাও। গণমাধ্যমের একটি বড় অংশও এখন সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনায় মুখর।

এমন দগদগে বাস্তবতায়ও ড. ইউনূস, সূত্র বলছে, তার উপদেষ্টাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—কোনো দলের দাবি মেনে কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না। তিনি নিজের অবস্থানে অনড় থাকতে চান, এমনকি যদি গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র ভেঙে পড়ে তবুও।

এই সংকটের শেষ কোথায়, তা এখনই বলা কঠিন। হয়তো পুরো কাঠামোই ধ্বংসের মুখে যাবে, অথবা চাপে পড়ে, কোণঠাসা ইউনূসই হয়ে উঠবেন জনগণের সহানুভূতির কেন্দ্রবিন্দু—যিনি প্রতিষ্ঠিত স্বার্থগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছেন।

তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথম সম্ভাবনাটিই বেশি।

ব্লুমবার্গের সাংবাদিক নাজমুল আহসান স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত ও অনুবাদিত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *