আগামী জাতীয় সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ নানাবিধ কাজের জন্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-এর জন্য ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ২,৯৫৬ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এবারের বরাদ্দে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি দেখা গেছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেট প্রস্তাবনায় দেখা যায়, সরকার পরিচালনা ব্যয় হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২,৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা।
নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দপ্রাপ্ত কাজের মধ্যে রয়েছে—রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ডাটাবেইজ ও ডাটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত ও বিতরণ এবং এ সংক্রান্ত সেবাপ্রদান। এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ এবং রাষ্ট্রপতি, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্য নির্বাচন ও উপনির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনার কাজও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাজেটে ইসির আরও যে দায়িত্বগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, তা হলো—নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন ও পরিচালনা; নির্বাচন সংক্রান্ত আইন, বিধিমালা, প্রবিধান ও নীতিমালা প্রণয়ন; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও প্রতীক সংরক্ষণ এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, সেমিনার-ওয়ার্কশপের আয়োজন ও অংশগ্রহণ, চুক্তি প্রণয়ন ইত্যাদি।
তুলনামূলকভাবে গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য বরাদ্দ ছিল ১,১৪১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ফলে এবারের প্রস্তাবিত বরাদ্দ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে, যা আগাম জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে।
