আন্তঃকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন থাকলেও, তাঁর সঙ্গে তারেক রহমান (Tarique Rahman)-এর বৈঠকের বিষয়ে কোনও তথ্য নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী (Ruhul Alam Siddique)।
বুধবার (৪ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নে জবাব দেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সে বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি এবং তা জানিয়েছি। কিন্তু তারেক রহমানের সঙ্গে কোনো বৈঠক হবে কি না, সে সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা কিছুই গোপন করছি না।”
তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূস আলোচনা করবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল আলম বলেন, “এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। অতএব, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না।”
লন্ডনে তারেক রহমানের অবস্থান এবং রাজনৈতিক স্ট্যাটাস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটি যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। আমাদের কাছে সে সম্পর্কেও কোনও তথ্য নেই।”
প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার (Keir Starmer)-এর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকে নির্বাচনসংস্কার বা শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina)-এর বিচার নিয়ে আলোচনা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে এমন কোনো ইস্যু তোলা হবে না। তবে যদি তারা জানতে চায়, স্বাভাবিকভাবেই আমরা উত্তর দেব।”
এ সফরে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়েও কোনো আলোচনা হবে না বলেই জানান রুহুল আলম। তিনি বলেন, “যতক্ষণ না আদালত থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট আদেশ আসে, ততক্ষণ আমাদের পক্ষে অন্য কোনও রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ৯ জুন লন্ডন যাচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরে তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস (King Charles III)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ১২ জুন বিকেলে সেন্ট জেমস প্রাসাদে তাঁর হাত থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন।
অন্যদিকে, ১১ জুন কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে। সফরের অংশ হিসেবে ড. ইউনূস যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজ আয়োজিত একটি সংলাপেও অংশ নেবেন।
এই সফর ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির গতিপথে পরিবর্তনের আভাস অনেকেই খুঁজছেন। তবে সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত এ নিয়ে কিছুই নিশ্চিত করা হয়নি।
