আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) যে সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, তার পরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union)। ইইউ বলেছে, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’, এবং সব পক্ষকে গঠনমূলকভাবে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন পরবর্তী সময়ে সময়সূচিসহ বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি।
এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশন নিজেদের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, “প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি সময়রেখা ঘোষণা করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তরণকে ধারাবাহিকভাবে সমর্থন করে আসছে। আমরা আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে এই উত্তরণকে বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “স্থিতিশীল, আরও সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের স্বার্থে এই প্রক্রিয়ায় সব অংশীদারকে গঠনমূলকভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। একইসঙ্গে উচ্চাভিলাষী সংস্কার এজেন্ডা নির্ধারণের কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইইউ দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে সুশাসন, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে নজরদারি করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন ও পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হয়, তা বিশ্ব নজরে রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচন ঘোষণাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে সময়সূচির পাশাপাশি কার্যকর সংলাপ ও সংস্কারের দাবিও তুলে ধরছে সংস্থাটি।