বিএনপি ও জাতীয় ঐকমত্য প্রক্রিয়ার প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন বৈঠকে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে অসন্তোষ জানিয়ে একদিনের বিরতিতে থাকা জামায়াতে ইসলামী আজ ফের অংশ নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনায়। বুধবার (১৯ জুন) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি-তে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় নেতৃত্ব দেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ।
এর আগের দিন (মঙ্গলবার) জামায়াত আলোচনায় অংশ নেয়নি। কারণ হিসেবে উঠে আসে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ঐকমত্য প্রক্রিয়ার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস যে যৌথ বিবৃতি দেন, তা জামায়াতের রাজনৈতিক অবস্থানকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করেনি—এমন অভিযোগ দলটির। বিষয়টিকে “রাজনৈতিক অশ্রদ্ধার” নিদর্শন বলে বিবেচনা করে তারা প্রথমে বৈঠক বয়কট করে।
তবে মাত্র একদিন পরই পরিস্থিতি বদলেছে। আজকের আলোচনায় পূর্বের অসমাপ্ত বিষয়গুলো—যেমন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং জেলা সমন্বয় কাউন্সিল পুনর্গঠন—আবার আলোচ্য সূচিতে এসেছে। জামায়াতের উপস্থিতি এই আলোচনার গুরুত্বকে নতুন মাত্রা দিলেও বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখনো “আংশিক অংশগ্রহণ”, পূর্ণ আস্থার বহিঃপ্রকাশ নয়।
জামায়াতের এই অবস্থান রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তারা বলছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য প্রক্রিয়ায় জামায়াত অংশ নিলেও নিজেদের অস্তিত্ব ও স্বাতন্ত্র্য তুলে ধরতে চাচ্ছে। এই আলোচনায় অংশ নিয়ে জামায়াত হয়তো প্রকাশ্যে আপোষের বার্তা দিতে চায় না, তবে অনুপস্থিত থাকাও তাদের জন্য কৌশলগতভাবে ব্যাকফুটে যাওয়ার শামিল—এই দ্বিধার মধ্যেই আপাতত তাদের পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
