জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে চলমান সংলাপ ও সংস্কার কার্যক্রমে আলাপ-আলোচনার চেয়ে ‘খাওয়া-দাওয়া বেশি হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি (BNP) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ (Salahuddin Ahmed)। তবে একইসঙ্গে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, “চূড়ান্তভাবে আমরা একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বীজ রোপণ হয়েছিল বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে। আমরা জানতাম ফ্যাসিবাদের পতন হবে—তবে সেটা কবে, কখন এবং কীভাবে হবে, তা আমাদের জানা ছিল না।”
তিনি জানান, চলমান রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিএনপি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে। “যদি সিদ্ধান্ত হয়, কেউ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না—আমরা সেটি একমত হয়েছি। এখানেই ফ্যাসিবাদের ঘাঁটি ভেঙে দেওয়া হলো,” বলেন বিএনপির এই নীতিনির্ধারক।
আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “সংস্কারের ধারাবাহিকতায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র অটুট রাখা সম্ভব নয়।”
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। আমরা চাই, সাংবাদিকরা যেন মালিকের চাকরি না করে বিবেকের চাকরি করেন। আর বিএনপি সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে।”
এ সময় নাগরিক ঐক্যের নেতারা বিএনপির বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বর্তমান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সব দল ও গোষ্ঠীর উচিত হবে গঠনমূলক আলোচনায় মনোনিবেশ করা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক প্রমুখ।