“জুলাই অভ্যুত্থান বদলে দিচ্ছে রাজনৈতিক ধারা: উপদেষ্টাদের অভিমত”

আসন্ন নির্বাচন, চলমান বিচার নিয়ে আশাবাদী বার্তা দিয়েছেন সরকারের আইন, গণপূর্ত ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টারা। তাদের মতে, ২০২৫ সালের জুলাই শুধুমাত্র আন্দোলনের সময়কাল নয়, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক নতুন যুগের সূচনা।

সোমবার (৭ জুলাই) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আয়োজিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ (Shrabon Bidroho)’–এর প্রিমিয়ার শোতে অংশ নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (Mostofa Sarwar Farooki) বলেন, “জুলাই একটি সাংস্কৃতিক ঘটনা, একটি আন্দোলন নয় শুধু। এটি ৫৪ বছরের লড়াইয়ের প্রতীক। তরুণরা বুঝিয়ে দিয়েছে—তারা আর কারও অধীনে থাকতে চায় না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি রাজনৈতিক ঐক্য বজায় রাখতে পারি, তাহলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের শক্তি হচ্ছে সত্য এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা।”

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (Asif Nazrul) এসময় বলেন, “আমাদের খুব বেশি হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আমি নিশ্চিত করছি বিচার পূর্ণ গতিতে চলছে। এই বিচার গ্রহণযোগ্য করতে হবে। নির্বাচনের আগে অবশ্যই বিচার হবে। সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর হয়ে যাবে—আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের চেহারা অনেকটাই পরিবর্তন হবে, যা আগে কখনো হয়নি। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠতম নির্বাচন হবে।”

গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান (Adilur Rahman) বলেন, “৫ আগস্ট থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। আমাদের এই নতুন স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে—যাতে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।”

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম (Md. Mahfuz Alam) বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়িত হবে। এর ফলে দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আসবে।”

তারা সবাই একমত হন যে, জুলাই অভ্যুত্থান শুধুমাত্র একটি আন্দোলন নয়, এটি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রূপরেখা নির্মাণের ভিত্তি। উপদেষ্টারা বলেন, “জুলাইয়ের ঐক্য যদি আগামী দশ বছর টিকে থাকে, তাহলে দেশে ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানের কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না।”

তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’–কে তারা অভ্যুত্থানের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “এই ধরণের প্রামাণ্যচিত্র শুধু ইতিহাস তুলে ধরে না, এটি ভবিষ্যতের পথনির্দেশনা দেয়।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *