রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের (Sir Salimullah Medical College Hospital) সামনে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাকে ‘পৈশাচিক ও ন্যাক্কারজনক’ আখ্যা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)। শুক্রবার (১১ জুলাই) এক লিখিত বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এটি আইনশৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের ওপর ভয়াবহ আঘাত।
তিনি বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক সংগঠন এবং আদর্শের সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই। অপরাধী যেই হোক, সে কখনোই আইন বা ন্যায়বিচারের ঊর্ধ্বে নয়।”
৯ জুলাই দিনদুপুরে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ফখরুল বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পর এই নির্মম ঘটনাটি দেশের বিবেকবান মানুষকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ন্যাক্কারজনক হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও গভীর হবে।”
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করুন এবং প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। দেশের মানুষ ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে, প্রতিশোধ নয়।”
সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি ইতিমধ্যে নিজ সংগঠনের অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছে এবং বারবার তাদের অবস্থানকে ‘জিরো টলারেন্স’ বলে ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিবের বিবৃতিও সেই অবস্থানকে আরও জোরালো করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি নিহত সোহাগের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিবৃতি শুধু একটি ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়, বরং সামগ্রিকভাবে সমাজে আইনের শাসন ও রাজনৈতিক শুদ্ধাচারের পক্ষে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে।