উত্তরার দিয়াবাড়ীতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর (Bangladesh Air Force) যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসা চলছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে (National Burn and Plastic Surgery Institute)। আহতদের সহায়তায় অনেকেই রক্ত দিতে ছুটে আসলেও, এই মুহূর্তে রক্তের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির যুগ্ম পরিচালক ডা. মারুফুল ইসলাম (Dr. Maruful Islam)।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আজ রক্তের কোনো প্রয়োজন নেই। রক্ত দিতে আগামীকাল সকাল ৮টার পর আসুন। ভিড় কম করে আমাদের সাহায্য করুন।”
তিনি আরো বলেন, “আপনারা যত বেশি আসবেন, সংক্রমণের ঝুঁকি তত বেশি বাড়বে। আমরা বাচ্চাদের ভালোবাসি বলেই বলছি—দয়া করে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে আসবেন না। ভুল তথ্য দিয়ে কেউ বিভ্রান্ত করবেন না। প্রথম ২৪ ঘণ্টায় আমরা রক্ত দিই না।”
বার্তা দিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত জরুরি। যারা সাহায্য করতে চান, তারা যেন সঠিক সময় এবং উপযুক্ত পন্থায় এগিয়ে আসেন।
এদিকে দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলা ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। বিমানের বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম (Flight Lieutenant Md. Tawkir Islam) জীবন ঝুঁকি নিয়ে বিমানটিকে জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের (Milestone School and College) একটি দোতলা ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
এ ঘটনায় শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাইলটসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৭১ জন আহত। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু এবং কিশোর রয়েছে, যাদের অনেকেই মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষার্থী।
বার্ন ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো আহতদের চিকিৎসা চলছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ অবস্থায় মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।