কক্সবাজারের অভিজাত সি পার্ল হোটেলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস (Peter Haas)–এর সঙ্গে দেখা করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–র শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে দলের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং তাসনিম জারা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, বিকেলে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলেও আলোচনার বিষয়বস্তু এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। নেতারা নীরব, আর সেই নীরবতায় জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন ও জল্পনা।
এই দিনটি কেবল একটি সাধারণ বৈঠকের দিন নয়—এটি ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর প্রথম বার্ষিকীও। ঠিক এক বছর আগে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, ঢাকা রক্তাক্ত হয়েছিল এক প্রচণ্ড বিক্ষোভে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান। সেই ঘটনার জেরে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ছিল ‘বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম’—যার মূল সংগঠকদের নিয়েই পরবর্তীতে গঠিত হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপি ক্ষমতার কেন্দ্রে এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক শক্তি।
অন্তর্বর্তী সরকারের একটি প্রধান অঙ্গীকার ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আজ বিকেলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হবে।
এই প্রেক্ষাপটে, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ভবিষ্যৎ কৌশল নাকি অন্য কোনো বিষয়—এই বৈঠকের অন্তর্নিহিত বার্তা কী, তা জানতে এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নজর রেখেছেন।