কক্সবাজারে অবকাশযাপনের সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়াকে ‘চরম ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেছে দলটি। মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিক্রিয়ায় এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা পরিবারের সঙ্গে অবকাশযাপনে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে। এটা প্রাইভেসির চরম লঙ্ঘন।”
তিনি আরও জানান, এনসিপি জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সন্তুষ্ট এবং সেই ঘোষণা জুলাই সনদে প্রতিফলিত হতে দেখতে চায়।
এর আগে মঙ্গলবার সারা দিন জুড়ে আলোচনায় ছিল এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতার হঠাৎ কক্সবাজার সফর। কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ইনানীর হোটেল রয়্যাল টিউলিপ সী পার্ল-এ তাদের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় একটি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে এনসিপির ওই পাঁচ নেতা কক্সবাজারে পৌঁছান।
তারা হলেন: হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নেতারা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে সাধারণ যাত্রীদের মতো করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন এবং দুপুর ১২টার পরপরই ইনানীতে পৌঁছান।
তিনি জানান, “তাদের আচরণ ছিল স্বাভাবিক, কোনো প্রটোকল বা ব্যতিক্রমী নিরাপত্তা দেখা যায়নি। মনে হয়েছে, তারা নিছক ব্যক্তিগত সফরেই এসেছেন।”
তবে এই সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। কক্সবাজারে অবস্থানরত বিএনপির উখিয়া উপজেলার একাধিক নেতাকর্মী রয়্যাল টিউলিপের বাইরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেন, “৫ আগস্ট, একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দিবসে বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে গোপন বৈঠক কীসের ইঙ্গিত দেয়?”
তাদের বক্তব্য, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপি নেতাদের এই আচরণ রহস্যজনক এবং এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদিও এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, এটি নিছক ব্যক্তিগত ভ্রমণ।