এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর—এইচএসসি পর্যন্ত প্রতিমাসে ২,৫০০ টাকা বৃত্তি দেবে একটি শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি। বৃত্তির আওতায় দুই বছরে মোট ৬০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি মিলবে শিক্ষাসামগ্রী ও পোশাক কেনার জন্য অতিরিক্ত অনুদানও।
শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তি পেলে প্রতি বছর পাঠ্য উপকরণ কেনার জন্য অতিরিক্ত ২,৫০০ টাকা এবং পোশাকের জন্য আরও ১,০০০ টাকা করে পাবে। সবমিলিয়ে, শিক্ষার্থী দু’বছরে প্রায় ৬৫ হাজার টাকার সহায়তা পেতে পারে।
তবে আবেদন করার সময়সীমা খুবই সীমিত—৬ আগস্ট ২০২৫ (বুধবার) পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ডাকযোগ, কুরিয়ার বা সরাসরি কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
কে কে আবেদন করতে পারবে?
শহরাঞ্চলের (সিটি করপোরেশন ও জেলা শহর) শিক্ষার্থীদের অবশ্যই এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেতে হবে। অন্যদিকে, গ্রামীণ বা অনগ্রসর এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৪.৮৩ ধার্য করা হয়েছে।
তবে, এক্ষেত্রে কিছু শর্তও থাকছে—
– শিক্ষার্থীরা যদি সরকারি বৃত্তি ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়ে থাকে, তাহলে তারা এই বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবে না।
– এই বৃত্তির ৯০ শতাংশই বরাদ্দ থাকবে গ্রামীণ ও অনগ্রসর অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য।
– মোট নির্বাচিতদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বৃত্তি ছাত্রীদের প্রদান করা হবে।
– চতুর্থ বিষয় ছাড়া প্রাপ্ত জিপিএ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
কী কী কাগজপত্র লাগবে?
আবেদনের সঙ্গে নিম্নলিখিত স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে—
– আবেদনকারীর রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি
– আবেদনকারীর মা ও বাবার রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি
– এসএসসি পরীক্ষার নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র
কীভাবে আবেদন করবেন?
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট ২০২৫। নির্বাচিতদের [Primary Selection Letter] এবং প্রদত্ত নির্দেশিকাসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে হবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক (Dutch-Bangla Bank)-এর যেকোনো শাখা বা মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে। এ প্রক্রিয়া চলবে ২৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।