জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান (Tarique Rahman)। এ বছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসেই তাঁর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir)।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হুমায়ুন কবির বলেন, “নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। ফিরেই তিনি একাধিক আসনে প্রার্থী হবেন।”
এই একই বার্তা দেন সিলেটের গোয়ালাবাজারে এক সুধী সমাবেশেও। হুমায়ুনের ভাষ্য, “সরকার তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তিনি ফিরলেই নির্বাচন ও রাজনৈতিক সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।”
তারেক রহমান বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। ১/১১-এর সময় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান। এরপর থেকে কাটিয়েছে সতেরো বছরের দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন।
সম্প্রতি ৫ আগস্টের গণ-আন্দোলনের পর এক-এগারো এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দায়ের করা সব মামলায় খালাস পান তারেক রহমান। এই রায়ের পর তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর জল্পনা শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক মহলেও বিএনপির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে এবং সরকার গঠন করলে তিনিই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।”
এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের (US Ambassador) সঙ্গে হুমায়ুন কবিরের সাম্প্রতিক সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়েও বক্তব্য দেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, “আলোচনায় দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং নির্বাচনে জয়ের পর রাষ্ট্র পরিচালনার রূপরেখা উঠে আসে।”
অতীতের অনেক প্রশ্নের উত্তর যেমন পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি এখন মূল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে—তারেক রহমান কবে ফিরবেন, কোথা থেকে প্রার্থী হবেন, আর দেশের রাজনীতিতে তাঁর প্রত্যাবর্তন কেমন প্রভাব ফেলবে?