যদি বেশি গোলমাল দেখি পুরো কনস্টিটিউয়েন্সি বাতিল করে দেব : সিইসি

আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। শনিবার (৯ জুলাই) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির মাঠে যখন ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলোর বিভক্তি তখন আগস্টের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসে কমিশন থেকে। জানানো হয়, ডিসেম্বরে তফসিল আর রমজানের আগেই ভোটের বার্তা। এবার ভোটের দিনক্ষণ জানালেন স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

আগামী নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না উল্লেখ করে সিইসি নাসির উদ্দীন বলেন, কোনো এক কনস্টিটিউয়েন্সি (নির্বাচনী এলাকা) গোলমাল করলে; একটা কেন্দ্র, দুইটা কেন্দ্র, একাধিক কেন্দ্র—পুরো কনস্টিটিউয়েন্সি বাতিল করে দেব। যদি বেশি গোলমাল দেখি পুরো কনস্টিটিউয়েন্সি বাতিল করে দেব। তোমার ভোট বন্ধ, পরে আরেকদিন নেব। সেই আইনই করছি এখন আমরা।

তিনি আরও বলেন, আমরা উদ্যোগ নেব, সচেতনতা কর্মসূচি সিরিয়াসলি নেব এবং তাদেরও আশ্বস্ত করবো যে, একটা ফেয়ার ইলেকশন আমরা আয়োজন করবো।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক বার্তা দেওয়ার পর মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময়ে যোগ দিতে রংপুর সফরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বিভাগের আট জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি জানান বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে।

এসময় আগামী নির্বাচনে কোনো পক্ষকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না জানিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভিন্ন অনুশাসন দেন সিইসি।

নাসির উদ্দিন বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যাবতীয় সবকিছু নির্বাচন কমিশন করবে। নির্বাচনে কাদের কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে কাজ করছে কমিশন। সময়তো বিষয়টি দৃশ্যমান হবে।

এর আগে সকালে রংপুর বিভাগের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সেখানে সিইসি জানান, নির্বাচনের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

এসময় নির্বাচনে জনবল নিয়োগসহ লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে সচেতনতা কার্যক্রম হাতে নেবার পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এ সময় কেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় নতুন নিয়ম যেমন, নারী পুরুষের আলাদা কিংবা বয়ঃভিত্তিক সারির পৃথক লাইনের বিষয়ও উঠে আসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর বক্তব্যে। চাওয়া হয় গণমাধ্যমের সহযোগিতাও।

বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম।

এর আগে, সকালে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *