উপদেষ্টা পরিষদের সমালোচনা করে মেজর হাফিজ বলেন, ‘এক বছরে এই উপদেষ্টা পরিষদ কোনো সংস্কার করতে পারে নাই। এক আসিফ নজরুল ছাড়া আর কেউ আন্দোলনে অংশ নেয় নাই।’
খুলনায় শনিবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল মহানগর শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পুলিশ-মিলিটারি সরাসরি গুলি করে দেড় হাজারের অধিক ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। এই পুলিশ বাহিনীর অধিকাংশ সদস্যকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া দরকার ছিল। আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়াদের মধ্য থেকে নিয়ে পুলিশ বাহিনী রিফর্ম করা দরকার ছিল।
সেনাবাহিনীর ভূমিকায় দু:খ প্রকাশ করে মেজর হাফিজ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই বাহিনী আমরা গঠন করেছিলাম। কিন্তু হাসিনার পতনের সময় পলায়নরত মসজিদের খতিব, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ অফিসারসহ অন্যান্য দুর্নীতিগ্রস্তদেরকে তারা আশ্রয় দিয়েছিল। হাসিনার শাসন প্রলম্বিত করে তারা অনেক অন্যায় সুবিধা পেয়েছে।
বক্তব্যের শুরুতে মেজর হাফিজ বলেন, আমার বয়স এখন ৮১ শারীরিকভাবেও অসুস্থ। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে যখন কথা বলার সুযোগ আসে, আমি অনেক কথা বলে ফেলি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। শেখ মুজিব কখনোই স্বাধীনতার কথা চিন্তা করে নাই। আওয়ামী লীগ নেতারা কলকাতার সার্কাস আর থিয়েটারে ব্যস্ত থেকেছে। মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে এ দেশের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআরের সাথে সাধারণ লুঙ্গি পরা, খালি গায়ে, মাথায় গামছা বাঁধা মানুষেরা জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। অথচ দেশ স্বাধীনের পর শহরের ফিটফাট পোশাকের সাহেবরা মুক্তিযোদ্ধা সেজে বসে। আওয়ামী লীগের দ্বারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। রাজনীতিবিদরা মুক্তিযোদ্ধাদের কখনো স্বীকৃতি দিতে চায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপি সভাপতি শফিকুল আলম মনা, জেলা আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।