আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি ছাড়া জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) নির্বাচনে অংশ নেবে কি না—এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো সময় এখনো আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ (Hamidur Rahman Azad)।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন (A M M Nasir Uddin)-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাব কি না—এটা যদি প্রশ্ন হিসেবে আসে, তাহলে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। এটা একটি উত্তম পদ্ধতি। জনগণও তাই মনে করছে। জনগণ চাইলে সরকারকে অবশ্যই এটা মানতে হবে। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেব কি না, সে সিদ্ধান্ত জানানোর এখনো ম্যাচিউরড সময় আসেনি।”
পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে মূল আলোচনার বিষয় ছিল পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমরা সরকারের কাছে যেমন বলেছি, তেমনি জনগণের কাছেও গিয়েছি। মাঠে-ময়দানে আমাদের বক্তব্য তুলেছি। এখন জনমত তৈরির চেষ্টা করছি। সবাই সবকিছু চায় না, এটা স্বাভাবিক। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়েও তো সবাই একমত ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল জনগণের দাবি। যদি সে সময় বিষয়টি জটিল না হতো, তাহলে আজকের সংকট হয়তো তৈরি হতো না। রাজনীতি তখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেত।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পর দেশের মানুষের মধ্যে নতুন আকাঙ্ক্ষা জেগেছে। মানুষ একটি সুন্দর রাজনৈতিক ব্যবস্থা চায়। সেই দিক থেকে আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ এখন পিআরের পক্ষে মত দিচ্ছে। দেশের মঙ্গলের জন্যই সেরা পলিসি গ্রহণ করা উচিত।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির প্রসঙ্গ টেনে জামায়াত নেতা বলেন, *“তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তক ছিলেন আমাদের তৎকালীন আমির প্রফেসর গোলাম আযম। সেই সময়ে তুলনামূলক সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলেই সবাই মনে করে। আমরা সবসময় ফেয়ার ইলেকশনের ব্যাপারে আন্তরিক ছিলাম। পিআর পদ্ধতিও দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। ভোট পচানো ঠেকাতে পিআর একটি কার্যকর পথ।”