সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ (M A Aziz) অভিযোগ তুলেছেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) আবারও সুযোগসন্ধানী ভূমিকা নিচ্ছে। তার মতে, একসময় দলটি বিএনপির ঘাড়ে ভর করেছিল, কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গেও চলেছে, আর এবার তাদের নতুন ভরসা হয়ে উঠেছে এনসিপি (NCP)।
সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠের মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার কাছে মনে হচ্ছে, এনসিপিকে খেলার গুটি বানানো হয়েছে। নির্বাচনকে বিলম্বিত করার পরিকল্পনা চলছে, আর সেটিই এখন এনসিপির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
এম এ আজিজ আরও মন্তব্য করেন, ইসলামিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে যে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) সিস্টেমে নির্বাচনের দাবি উঠেছে, তা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তার ভাষায়, “আমি এই পিআর সিস্টেমকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলি, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বলি। এটা আমাদের অখণ্ডতাকে বিপন্ন করে।”
জামায়াতের ঘোষিত ইসলামী শাসনব্যবস্থার দাবি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই সাংবাদিক। তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী বলে ইসলামী শরিয়া চাই। কিন্তু সেই শরিয়া আসলে কী—কখনো কি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছে? তারা শুধু বলে আল্লাহর আইন চাই। অথচ আল্লাহর আইন তো কোরআনেই রয়েছে।”
কঠোর সমালোচনায় তিনি আরও বলেন, “যদি সত্যিই শরিয়া কায়েম করতে চায়, তবে জামায়াত কেন পরিষ্কারভাবে বলে না—অবিবাহিত কেউ ধর্ষণ করলে তাকে পাথর মেরে শাস্তি দেওয়া হবে, বিবাহিত কেউ ধর্ষণ করলে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হবে। আর কেউ চুরি করলে তার হাত কেটে দেওয়া হবে।”
এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে এম এ আজিজ আবারও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে একেক সময়ে একেক দলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, আর এর ফলে দেশের রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে।