বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুমিন ফারহানা (Rumin Farhana)কে ঘিরে তীব্র মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party – NCP)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ (Hasnat Abdullah)। তিনি বলেন, “হোন্ডা গুন্ডা নির্বাচনকে আমরা ইতোমধ্যেই ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছি। সন্ত্রাসের রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগের মতো রুমিন ফারহানাদেরও ভারতে পাঠানো হবে।”
রবিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা নিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি-আপত্তি শুনানিতে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় এনসিপির নেতা মো. আতাউল্লাহ আহত হন বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদ জানাতে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এনসিপি।
সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগপন্থী পণ্যদের মধ্যে রুমিন ফারহানা অন্যতম। উনি প্রায়ই বলেন, গত ১৫ বছর তিনি নাকি ভালো ছিলেন। অবশ্যই ভালো থাকবেন, কারণ আওয়ামী লীগের সব সুযোগ-সুবিধা তিনি নিয়েছেন।”
তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে আরও বলেন, “আজকের কমিশন যে ভূমিকা রেখেছে, তা সবসময়ই প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশকে আমরা দেখেছি নীরব দর্শকের মতো বসে থাকতে। আমাদের নেতাকর্মীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, অথচ বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য ফ্রি এক্সিট রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আজ কয়েকটি দলের অফিসে পরিণত হয়েছে। এ কমিশনকে অবশ্যই পুনর্গঠন করতে হবে।”
এনসিপি নেতা আরও জোর দিয়ে বলেন, “আমরা ডানপন্থি বা বামপন্থি নই; বাংলাদেশপন্থি নির্বাচন কমিশন চাই।”
একই সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ অভিযোগ করেন, রুমিন ফারহানার নির্দেশে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন হামলা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তার ভাষায়, “রুমিন ফারহানাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) সব কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করবো।”