ফজলুর রহমানের বক্তব্য বিকৃত করে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

ফজলুর রহমান (Fazlur Rahman) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। সাম্প্রতিক সময়ে তার একটি বক্তব্যের খণ্ডাংশ বিকৃত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party – NCP)। তারা এই অপপ্রচারের মাধ্যমে শুধু একজন রাজনীতিকের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই নয়, গোটা রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতেও সচেষ্ট।

এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নজরুলের নেতৃত্বে মিছিলটি হ্যালিপেড মাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান একজন সৎ, নির্ভীক এবং আদর্শবান রাজনীতিক। জামায়াত ও এনসিপির একটি চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বক্তব্যের অংশবিশেষ কেটে প্রচার করছে। এতে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে এবং রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তোলার চেষ্টা হচ্ছে।”

এমনকি, যে বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটির প্রেক্ষাপট ছিল দলীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রসঙ্গে ফজলুর রহমানের ব্যাখ্যা। যেখানে তিনি বলেন, “আমার দল কিছু বক্তব্যের জন্য ব্যাখ্যা চেয়েছে, আমি সময়মতো জবাব দেব। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মাথা পেতে নেব।” একইসঙ্গে তিনি বাসার বাইরে স্লোগান, হুমকি, ও বাসায় ঢোকার চেষ্টা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। “আমি যে বাসায় থাকি, সেটা ভাড়া বাসা। মালিক আমাকে থাকতে দেবেন কি না—এই নিয়েও আমি শঙ্কায় আছি,”—এই মানবিক বক্তব্যকেও এখন রাজনৈতিক অপপ্রচারের জন্য হাতিয়ার করা হচ্ছে।

এই বিকৃতির মাধ্যমে জামায়াত ও এনসিপি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে দাবি করা হয় সমাবেশে। বক্তারা বলেন, “তারা চায় বিএনপির ভেতরেই বিভ্রান্তি ও বিভাজন তৈরি করতে। কিন্তু তাদের এই অপচেষ্টা অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে, এবারও হবে।”

সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা ফজলুর রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং রাজপথে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এই ঘটনাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়—রাজনীতির নামে মিথ্যাচার, বিকৃতি ও প্রোপাগান্ডার খেলা এখন এমন স্তরে পৌঁছেছে, যেখানে সত্যকে চাপা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোই হয়ে উঠেছে অস্ত্র। প্রশ্ন উঠছে—এই ধরনের অসৎ রাজনৈতিক সংস্কৃতি কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রকে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *