আফ্রিদিকে গ্রেফতারে সরকারের ওপর বিদেশি চাপ বাড়বে: নুর

হত্যা মামলায় গ্রেফতার মাই টিভির মালিক নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে কালচারাল ফ্যাসিস্ট তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেফতারের পর ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ বাড়বে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে ভিপি নুরের সঙ্গে তৌহিদ আফ্রিদির একান্ত সম্পর্কের বিষয়টি বাংলা এডিশনের প্রতিবেদনে প্রকাশের পরই তিনি এই পোস্ট দেন।

পোষ্টে নুর লেখেন, মাইটিভি দখলের জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কিছু ব্যক্তি পরস্পর যোগসাজশে মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করিয়েছে। এতোদিন তারা নগদ ৫ কোটি কিংবা শেয়ার লিখে নেয়ার দেনদরবার করেছে, সমঝোতায় মিলেনি, তাই ডিজিট্যাল ও ফিজিক্যাল মবের মাধ্যমে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবাকে গ্রেফতার করিয়েছে।

আচ্ছা, এই যে তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবাকে যাত্রাবাড়ী থানার ছাত্র হত্যা’ মামলায় আসামি করে ১ বছর পর গ্রেফতার করানো হয়েছে। মামলার বাদী কি জানে এই মামলায় কাকে কাকে আসামি করা হয়েছে? তৌহিদ আফ্রিদি কিংবা তার বাবা ‘ছাত্র হত্যা’ করেছে এই মামলা প্রমাণ করতে পারবে? তাহলে কেন এই নাটক?

আফ্রিদি যদি লীগের হয়ে কিছু করে থাকে সেজন্য তাকে সুনির্দিষ্টভাবে সেসব অভিযোগে মামলা দেয়া যেত। সে ধরনের মামলা না করে কেন তাকে ও তার বাবাকে যাত্রাবাড়ীর ‘ছাত্র হত্যা’ মামলায় ভিত্তিহীনভাবে আসামি করে ১ বছর পর গ্রেফতার করানো হলো?

এই যে হঠাৎ বিপ্লবের চেতনায় দখলদার হয়ে ওঠা ‘ফিজিক্যাল ও ডিজিট্যাল মব’ সৃষ্টিকারী দুর্বৃত্তদের চাপে প্রশাসন মাঝে মাঝে কিছু বিবেকহীন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর প্রভাব কি প্রশাসন বা আমরা উপলব্ধি করতে পারতেছি?

স্বাভাবিকভাবেই সরাসরি রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকার ফলে এ দু’জনের গ্রেফতার দেশী-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনসহ অনেকক্ষেত্রে রেফারেন্স হবে যে, এভাবে যারা ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় গণমাধ্যমের মালিক/ব্যবসায়ী/সেলিব্রিটি তাদেরকেও ঢালাওভাবে আসামি করে প্রশাসন অন্যায়ভাবে গ্রেফতার হয়রানি, মামলা বাণিজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। ফলে প্রকৃত অপরাধীরাও এ রেফারেন্সের সুযোগ পাবে। সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ বাড়বে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেশি-বিদেশি চাপে সরকারকেও ফ্যাসিবাদ নির্মূলে শক্ত বা কঠোর পদক্ষেপ থেকে কিছুটা সরে আসতে হবে।

এতে কার কি লাভ হচ্ছে? কার্যত এসব পদক্ষেপ ফ্যাসিবাদ ফেরার সুযোগ সৃষ্টি করছে।

‘মাইটিভি’ দখলে যারা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই জঘন্য অপকর্ম ঘটিয়েছে তাদের মুখোস উন্মোচন করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হোক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *