ঢাকা মহানগর পুলিশের (DMP) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি মাসুদ আলম) এর বিরুদ্ধে মারমুখী আচরণের অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ। বুধবার (২৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ প্রকাশ করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি ডিসি মাসুদের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, মিন্টু রোডের সামনে কোনো ব্যারিকেড বা পুলিশ ছিল না। রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছিল, তখন শিক্ষার্থীরা কয়েকজন মিলে যানবাহন থামানোর চেষ্টা করেন। এসময় ঘটনাস্থলে এসে ছবিতে থাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তা বুয়েটের ২০ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর গলা চেপে ধরেন এবং আরও কয়েকজনকে পেছন থেকে ঘুষি ও লাথি মারেন।
ফাইয়াজ দাবি করেন, ঘটনার সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ছিলেন ঢাকার বাইরের। এই দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা মিন্টু রোডে প্রবেশ করেন। তিনি জানান, তিনি নিজে সামনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। ঠিক তখনই হঠাৎ করে পায়ের নিচে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয় এবং শুরু হয় লাঠিচার্জ।
তার ভাষ্যে, “আমি পেছনে ঘুরে সবাইকে আটকে রাখার চেষ্টা করছিলাম, তখনই পুলিশ হঠাৎ এসে লাঠিচার্জ করে।” এরপর শিক্ষার্থীরা পিছু হটতে শুরু করেন। এসময় যমুনার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসে তাকে অনুরোধ করেন শিক্ষার্থীদের আরও পেছনে সরিয়ে নিতে। ফাইয়াজ বলেন, তিনি কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন টিয়ারশেল বা সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার না করতে, কারণ শিক্ষার্থীরা সরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি পিছু হটার আগেই টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করা হয় এবং যাকে আলাদা অবস্থায় পাওয়া গেছে তাকে মারধর করা হয়েছে। ফাইয়াজের দাবি, এ ঘটনায় একজন শিক্ষার্থীর মেরুদণ্ডে স্প্লিন্টার ঢুকে গেছে।
তিনি আরও লিখেছেন, “শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর যদি সবাই ভয়ে পালিয়ে যেত, তাহলে হাসিনার সরকার টিকে থাকত না। দুঃখজনক হলেও সত্য, শিক্ষার্থীরা আগে হামলা করেছে—এই বক্তব্যের সত্যতা জুলাইয়ে ২০০০ পুলিশ নিহত হওয়ার দাবি থেকে একটুও বেশি না। হাসিনা ক্ষমতা হারালেও, হাসিনার পুলিশ কিন্তু এখনো রয়ে গেছে।”