গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি (Zonayed Saki) সতর্ক করে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন যদি কোনোভাবে ব্যাহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তার ভয়াবহ প্রভাব পড়বে পুরো বাংলাদেশের ওপর। তার ভাষায়, “নির্বাচন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ।”
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি অংশ নিয়ে বলেন, বর্তমানে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় জাতীয় স্বার্থ হলো নির্বাচন আয়োজন। কিন্তু সেই নির্বাচনের আয়োজন বানচাল করার চেষ্টা, কিংবা অকারণে বিলম্ব ঘটানো—এসব কিছুই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক কোনো পক্ষই শেষ পর্যন্ত এমন অচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেবে না।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সংস্কারের প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি মন্তব্য করেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা। এর জন্য দরকার নির্বাচন সংস্কার, সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা এবং কার্যকর বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করা।”
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, যদি দুই বছরের জন্য একটি প্রস্তাব থাকে, সেটি হয়তো এক বছর বা দেড় বছরে নামিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু এই সময়টুকুতে আন্দোলনরত পক্ষগুলোর উচিত ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য বজায় রাখা, যাতে দেশ গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে এগোতে পারে।
এ সময় তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে দেন দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে। তার মতে, “আমরা যদি জাতীয় স্বার্থের চেয়ে দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা বড় করে দেখি, তাহলে দেশকে আমরা মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলব। এতে পুরো রাজনৈতিক বাস্তবতা চরম অস্থিতিশীলতার দিকে যাবে, আর এর ফলাফল কারোর জন্যই শুভ হবে না।”