আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক নেত্রী উমামা ফাতেমা (Umama Fatema) নেতৃত্বে ঘোষিত ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ (Chhatra League) এর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা দুই কর্মী এই প্যানেলে জায়গা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আবার সরাসরি ছাত্রদলের ওপর হামলায়ও জড়িত ছিলেন বলে তথ্য প্রমাণে উঠে এসেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় জানা গেছে, প্যানেলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন মো. মমিনুল ইসলাম বিধান। তিনি একসময় সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগ কমিটিতে স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একই বছরের মে মাসে ঢাবি এলাকায় ছাত্রদলের ওপর হওয়া এক সহিংস হামলায়ও তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়ে তিনি নিজেও মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, একই প্যানেলের সদস্যপদ প্রার্থী হাসিবুর রহমানকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে রয়েছেন। এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়েও বিতর্ক ছড়িয়েছে নির্বাচনী অঙ্গনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা সরাসরি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “তারা ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন বা কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন—এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা এ ব্যাপারে অবগতও নই। তবে যদি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আসে, তাহলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
ডাকসু নির্বাচনের আগে এই অভিযোগকে ঘিরে ইতিমধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে। সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে পড়ছেন, আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও প্রশ্ন উঠছে, স্বতন্ত্র ব্যানারের আড়ালে আবারও কি দলীয় প্রভাব বিস্তার করছে নিষিদ্ধ সংগঠনের মুখপাত্ররা?