ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উমামা ফাতেমা (Umama Fatema) অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশে রাজনৈতিক সুবিধা নিলেও নিজেদের সদস্যদের দায়ভার কখনো নেয় না। তিনি বলেছেন, এ কারণেই শিবির কখনো প্রকাশ্যে না এসে গুপ্ত রাজনীতি করে যায়।
সম্প্রতি ডাকসুর জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা শিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থী এস এম ফরহাদ (SM Farhad)-এর প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা এক নারী শিক্ষার্থীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ হুমকি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে উমামা ফাতেমা সরাসরি এ বিষয়ে অবস্থান জানান। তিনি শুধু বক্তব্যই দেননি, বরং হুমকি বার্তার একটি স্ক্রিনশটও প্রকাশ করেন। সেই স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, আলী হুসেন নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
পোস্টে উমামা লিখেছেন, “এই ক্যাম্পাসে একজন মেয়েকে রেপ থ্রেট দিয়ে কতই না সহজে পার পাওয়া যায়। শিবির কেন গুপ্ত রাজনীতি থেকে প্রকাশ্যে আসে না, তার কারণ এটাই। সাধারণ শিক্ষার্থী সেজে রাজনৈতিক সুবিধাটা ঠিকই নেবে, কিন্তু নিজেদের লোকের দায়টা নেবে না। এখন পর্যন্ত হুমকিদাতার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।”
এই ঘটনার পর ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রার্থীরাও প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। তাঁরা হুমকিদাতার বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হুমকির বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ এবং অপরাজেয়৭১-অদম্য২৪ প্যানেলের সহসভাপতি পদপ্রার্থী মো. নাইম হাসান লিখিত আবেদনের মাধ্যমে প্রক্টরের কাছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।