রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় বুধবার গভীর রাতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার এবং এর পাশেই থাকা মালিক আলী হাসান পলাশ তালুকদার (Ali Hasan Palash Talukder)-এর বাসায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক মামুন, আহত হয়েছেন আলী হাসান পলাশ তালুকদারও। পুরো টিকিট কাউন্টার ভেঙে চুরমার করে দেয় হামলাকারীরা।
চোখ ধাঁধানো এই হামলার ঘটনা ঘটে বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল একসঙ্গে এ হামলায় অংশ নেয়। তবে কারা এই হামলার পেছনে ছিল তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।
আলী হাসান পলাশ তালুকদারের ভাই মাজেদুল হক নাদিম (Majedul Haque Nadim) অভিযোগ করেছেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত। তার ভাষ্য অনুযায়ী, “পলাশ ভাইকে আক্রমণ করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে, বাসার গেটে হামলা চালিয়েছে। তবে ভেতরে ঢুকতে পারেনি। পলাশ ভাইয়ের গাড়ির ড্রাইভারের শরীরে অসংখ্য কোপ লেগেছে।” তবে কেন এ হামলা চালানো হলো সে বিষয়ে তিনি কোনো কারণ জানাতে পারেননি।
ঘটনার পরপরই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রমনা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। থানার ডিউটি অফিসার নিশ্চিত করেন, খবর পাওয়ার পর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাহিদ যুগান্তরকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৬০ থেকে ৭০ জন লোক কাউন্টারে এসে এলোপাতাড়ি মারধর করে, কাউন্টার ভাঙচুর করে, স্টাফদের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। আরও অনেকে আঘাত পেয়েছে।” তিনি আরও জানান, আহতরা সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলসহ নিকটবর্তী কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা স্থানীয়। তাদের সঙ্গে কী কারণে বিরোধ তৈরি হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার ভয়াবহতা এবং এত বড় সংখ্যক সন্ত্রাসীর একযোগে হামলার ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।