ধানমন্ডিতে আকস্মিক মিছিলের পরিকল্পনার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ (Awami League) ও এর অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—ধানমন্ডি মিছিলের আয়োজক মো. সজিবুল ইসলাম হৃদয় (২৩), ওয়ারী থানা ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লা বিন আজিজ (২৩), লালবাগ থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী মো. রায়হান ওরফে পলিন (২৮), পল্টন থানার আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মো. শাহাদাৎ নবী খোকা (৪২), শেরেবাংলা নগর থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান মানিক (৩০), কলাবাগান থানা ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জামিল হোসেন পলাশ (৫৮), শরীয়তপুর সদর থানা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি মো. গোলাম মোস্তফা (৫০) এবং নিকলী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমদ (৪১)।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৪টার দিকে ধানমন্ডি এলাকা থেকে সজিবুল ইসলাম হৃদয়কে ডিবি ওয়ারী বিভাগের একটি টিম গ্রেপ্তার করে। একই দিন সকাল ৭টায় ওয়ারী এলাকা থেকে আব্দুল্লা বিন আজিজকে আটক করা হয়। ওইদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে লালবাগ থেকে রায়হান ওরফে পলিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগ।
অন্যদিকে রাত ১টা ৩০ মিনিটে পল্টন এলাকা থেকে শাহাদাৎ নবী খোকাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার বিভাগ। একইভাবে রাত ১১টা ২০ মিনিটে শেরেবাংলা নগর থেকে আমিনুর রহমান মানিককে এবং রাত ৩টায় ধানমন্ডি থেকে জামিল হোসেন পলাশকে আটক করা হয়।
ডিবি গুলশান বিভাগ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জ থেকে গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে। আর ডিবি তেজগাঁও বিভাগ রাত ১টা ৩০ মিনিটে উত্তরা থেকে কারার শাহরিয়ার আহমদকে আটক করে।
ডিবির দাবি, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল আয়োজনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছিল। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।