কিছুদিন আগেই নেতিবাচক মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা (Rumin Farhana) ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah)। কিন্তু সেই টানাপোড়েন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কয়েক দিনের ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিখ্যাত মিষ্টি ছানামুখী হয়ে উঠেছে দুই নেতার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মাধ্যম।
বিজয়নগরে একটি উঠান বৈঠকে যোগ দিতে গেলে হাসনাত আবদুল্লাহ ও এনসিপি নেতাদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে ছানামুখী পাঠান রুমিন ফারহানা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সম্পর্কের শীতলতা দূর হতে শুরু করে এবং রাজনৈতিক মহলে আলোচনার নতুন মাত্রা যুক্ত হয়।
সম্প্রতি এক টকশোতে রুমিন ফারহানা এ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, স্বাধীনতার পর মাওলানা ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠনের পর আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারাও তাঁর কাছে গিয়ে দিকনির্দেশনা চাইতেন। রুমিনের ভাষায়—“যে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমি বড় হয়েছি, সেটাই আমার শিক্ষার জায়গা।”
তিনি আরও জানান, হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁকে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর এলাকায় যাচ্ছেন। তখন তিনি নেতাকর্মীদের বলে দিয়েছিলেন হাসনাতকে স্বাগত জানাতে। কথোপকথনের সময় হাসনাত জানতে চান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশেষ উপহার হিসেবে তিনি কী নিতে পারেন। উত্তরে রুমিন বলেন, “তখনই আমি ছানামুখী পাঠিয়েছি।”