রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, ‘ছাত্রলীগের ভোট যদি জামায়াত নিতে পারে, এটা জামায়াতের কৃতিত্ব। এখানে এবং জাতীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের যে ভোটব্যাংক আছে সেটা সবারই চেষ্টা করা উচিত তার দিকে নেওয়া। এখন শিবির যদি সেটা নিয়ে নিতে পারে; এটা খুবই সম্ভব।’
‘এখন কারো কারো মনে হতে পার, আওয়ামী লীগের লোকজন কি শিবিরকে ভোট দেবে বা জামায়াতকে ভোট দেবে? আমি একটা এক্সাম্পল দিতে পারি, পশ্চিমবঙ্গতে যখন নির্বাচন হচ্ছিল, ওখানে মমতার ভোটের পার্সেন্টেজ প্রায় ঠিক থাকে।
বাড়ছে বিজেপির এবং বিজেপির ততটা বাড়ছে যতটা কমিউনিস্টদের কমছে। একদম এটা পরীক্ষিতভাবে আপনি মিলিয়ে নিতে পারবেন। সুতরাং বামরা রীতিমতো গিয়ে ডানকে, চরম ডানকে ভোট দিচ্ছে।’ তো আওয়ামী লীগের জায়গা থেকে যদি চিন্তা করেন, তারাও জামায়াতকে ভোট দিলেও দিতে পারে।
কারণ বিএনপির সঙ্গে তার মূল সংঘাতের জায়গা। আর ছাত্রশিবির প্রচুর সোশ্যাল ওয়ার্ক করছে, নানান রকম এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিতে জড়িত হচ্ছে। সেখানে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রদল আসলে তেমন কিছু করছে না। আবার তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে, যদিও এটা তারা করেন নাই, কিন্তু এই স্টুডেন্টের তো বাড়ি আছে, তার প্যারেন্টস আছে, সত্যিকার অর্থে কোনো কোনো জায়গায় তারা সরাসরি এফেক্টেড হচ্ছেন বিএনপির লোকজনকে দিয়ে।
বিএনপির যে এই ধরনের প্রবণতা আছে এটা বিএনপি নিজে স্বীকৃতি দেয়। তারা বহিষ্কারও করে, কিন্তু তার পরও কী খুব ভালো কন্ট্রোল করা গেছে।’ ‘সুতরাং সামনে ব্যাপারটা আসবে। বাংলাদেশে এই রাজনীতি আসলে বিএনপিকে মানতে হবে। আমরা নেপালের দিকে তাকাই।
নেপালে তো অবৈধ সরকার ছিল না। ও তো ভোটে নির্বাচিত সরকার ছিল। কিন্তু আপনি সুশাসন দিতে পারেন নাই। আপনি দুর্নীতি করেছেন। আপনার ছেলে-মেয়েরা গিয়ে শান-শওকতে থাকে, আর ইয়াংরা বেকার থাকে। আপনাকে তখন ক্ষমতায় রাখবে না। সো বিএনপিকে এটা ভবিষ্যতে বুঝতে হবে।’