জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jahangirnagar University) গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম (Nazrul Islam) অভিযোগ তুলেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) সরাসরি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোট কেটে আলাদা করে রাখার জন্য। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রো-ভিসি জামায়াতপন্থী। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি জামায়াতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। এমনকি তার জন্মদিনে জামায়াতের নেতারা তার বাসায় শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আমার কাছে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছি, সেখান থেকেও নিশ্চিত হয়েছি যে তিনি জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”
তিনি আরো জানান, একসময় ওই প্রো-ভিসি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কিন্তু চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর যখন তিনি মনে করলেন বিএনপির জন্য অনুকূল সময় আসতে পারে, তখন গত এপ্রিল থেকে বিএনপির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা শুরু করেন। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, “এতে প্রমাণ হয় তিনি রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন। এমন একজনকে জাকসু নির্বাচনের মতো অত্যন্ত গোপনীয় দায়িত্ব দেওয়া দায়িত্বশীলতার মধ্যে পড়ে না।”
ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর কখনোই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তিনি কেবল ভিজিটর হিসেবে থাকতে পারেন। শুরুতে আমরা ভোট বর্জন করিনি, কারণ তারা আশ্বস্ত করেছিলেন যে কোনো অনিয়ম হবে না, বাইরে থেকে ব্যালট আসবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তারাই অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ব্যালট পেপার সরবরাহ করেছিলেন।”
তিনি শেষ পর্যন্ত স্পষ্টভাবে জানান, “আমরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি জাতির কাছে। এখন তাদের জবাবদিহি করতে হবে জাতির কাছেই।”