ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (DUCSU)) নির্বাচনের সময়ে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন তানভীর বারী হামিম (Tanvir Bari Hamim)। নির্বাচনে জয় না পেলেও তিনি দলের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকেন। শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে হামিম এবি পার্টির ব্যারিস্টার ফুয়াদ (Barrister Fuad)-কে টলস্টয়ের একটি গল্প থেকে শিক্ষা নিতে বলেন।
হামিম বলেন, “আমরা কথা বলতে বলতে কোথায় থামব আর কোন পর্যন্ত বললে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে, মার্জিত হবে — এটা জানা অত্যন্ত জরুরি।” তিনি বলেন, খুব দুঃখের সঙ্গে খেয়াল করেছেন, ব্যারিস্টার ফুয়াদ সাহেব যখন ছাত্রদলের ছেলেদের দেখে তাদের নিয়ে কথা বলছেন, তখন কটু কিছু বিশেষণ ব্যবহার করেছেন। “ব্যারিস্টার ফুয়াদদের এ দেশের জনগণ ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি হিসেবে জানেন ও চেনেন,” বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
হামিম আরও বলেন, “তার মুখ থেকে যখন এ ধরনের শব্দচয়ন হয়, এ জাতি থমকে দাঁড়ায়। ছাত্রদলের ছেলেদের দেখলে ‘গাঁজাখোর লাগে’ কথাটি তিনি যখন উচ্চারণ করলেন, তখন চোখে ভেসে উঠল গত জুলাই-আগস্টের সেই আওয়ামী বয়ান—প্রথম শহীদ আবু সাঈদ নাকি টোকাই-গাঁজাখোর ছিল।” তিনি এই বাক্যটি তুলে ধরে ব্যারিস্টার ফুয়াদদের শিক্ষাগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
হামিম বলেন, ব্যারিস্টার ফুয়াদরা বিলেত থেকে ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন ঠিকই; কিন্তু কতটুকুতে থামতে হয় সেই সীমা সম্পর্কে ধারণা গড়ে তুলতে পারেননি। তিনি বাঁধভাঙা রূপকে টলস্টয়ের কালজয়ী গল্প ‘সাড়ে তিন হাত জমি’র ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, পাখোম জানত না কতটুকু দৌড়ে থেমে যাওয়া উচিত — ব্যারিস্টার ফুয়াদ সাহেবকে সেই গল্প থেকেই শিক্ষা নেওয়ার অনুরোধ করছি। (টলস্টয়/সাড়ে তিন হাত জমি)
ছাত্রদলের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনে ফের রক্ত দেবে কিন্তু পিআর পদ্ধতি চালু কায়েম করতে দেবে না—এই দৃঢ় সংকল্পটাই হামিমের বক্তব্য। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আবু সাঈদ যেমন বুক পেতে দুই হাত উঁচিয়ে জীবন দিয়েছিল, ঠিক তেমনই ছাত্রদলের দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীরা আবারও রক্ত দেবে। কিন্তু পিআরের মতো অসম ব্যবস্থা কায়েমের নামে জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করার পাঁয়তারা সফল হতে দেবে না — এটাও মনে রাখবেন।”
বার্তা বাজার/এস এইচ