বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ (Salahuddin Ahmed) প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি দল হওয়ার বিষয়ে এতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণে কেন নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “আপনারা যখন এত আত্মবিশ্বাসী যে সরকারি দল হবেন, তাহলে নির্বাচনে আসেন না কেন? জনগণের ভোটেই ঠিক হবে কে সরকারে যাবে আর কে বিরোধী দলে থাকবে।”
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে সামাজিক সংগঠন অর্পণ আলোক সংঘ আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তার তৃতীয় সংলাপ’-এ এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় ছিলেন বীথিকা বিনতে হোসাইন।
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, কিছু সংবাদমাধ্যমে তিনি দেখেছেন শিরোনামে লেখা হচ্ছে—জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে আর বিএনপি বিরোধী দলে যাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বিএনপি বিরোধী দলে যাবে কি না, সেটা তো জনগণ ঠিক করবে। যারা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করে না, তারাই এ ধরনের কথা বলে।”
তার এই বক্তব্য আসে একদিন পর, যখন শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুহাম্মাদ শাহজাহান দাবি করেছিলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে এবং বিএনপিকে বিরোধী দলে বসতে হবে।
বিরোধী দল প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, সরকার সবসময়ই চায় বিরোধী দল যেন মাঠে শক্ত অবস্থান নিতে না পারে। অথচ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দল দুটোই জনগণের প্রতিষ্ঠান। “বিরোধী দল মানে শত্রু নয়, রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ,” তিনি জোর দিয়ে বলেন।
তিনি আরও মন্তব্য করেন, একই সময়ে কেউ সরকারি দল ও বিরোধী দল হতে পারে না। “দরজা হয় খোলা থাকে, নয় বন্ধ থাকে—একসঙ্গে দুটো হয় না।” তার মতে, যারা এখনো ছাত্র প্রতিনিধি হয়ে সরকারে বসে আছেন, প্রতিদিনই তাদের দায়ভার বহন করতে হচ্ছে। জনগণের সঙ্গে দ্বিমুখী আচরণ করে কোনো দল বা সংগঠন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।