জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (Nasiruddin Patwari) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের দলের প্রতীক হিসেবে কেবলমাত্র শাপলা—সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলাই গ্রহণযোগ্য হবে। এর বাইরে অন্য কোনো প্রতীক তারা মানবেন না।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। পাটওয়ারী বলেন, শাপলা ছাড়া অন্য প্রতীক মানার প্রশ্নই আসে না। দলের প্রতীক শাপলা না দিলে কীভাবে সেটি আদায় করতে হয়, এনসিপি তা জানে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আত্মবিশ্বাসের কথাও তুলে ধরেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক। তিনি বলেন, “১৫০ আসনে আমরা জিতব, এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। আর বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি আসন পাবে না।”
পাটওয়ারী আরও জানান, ধর্মভিত্তিক ব্লক কিংবা বিএনপি ব্লকের বাইরে তাদের নেতৃত্বে একটি আলাদা রাজনৈতিক ব্লক গড়ে উঠবে। গত ১৫ বছরে যারা আন্দোলন করেছে বা নতুন দল গঠন করেছে, যতো ব্যানারে যে সংগঠন আছে, সবাই একীভূত হবে। তবে ঐক্যের পরও দলের নাম থাকবে এনসিপিই, প্রতীকও এনসিপির শাপলাই থাকবে। এই প্রক্রিয়া কীভাবে এগোবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মপন্থা নিয়ে তিনি বলেন, “পরবর্তী আন্দোলন হবে ব্যালটের মাধ্যমে। সেখানে আওয়ামী লীগ কিংবা জাতীয় পার্টির নাম থাকবে না। আগামী নির্বাচন হবে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এক নির্বাচন।”
প্রতীক দাবির পেছনে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কথাও তুলে ধরা হয়। এর আগে গত ৩ আগস্ট এনসিপি নির্বাচন কমিশনে সংশোধিত আবেদন জমা দেয়। তাতে শাপলা প্রতীক রেখে কলম ও মোবাইল ফোনের জায়গায় সাদা শাপলা ও লাল শাপলা প্রতীক হিসেবে দাবি জানানো হয়।
এরও আগে, গত ২২ জুন প্রথম দফায় আবেদন জমা দেওয়ার সময় শাপলা প্রতীকের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে কলম ও মোবাইল ফোন চাওয়া হয়েছিল। তবে শাপলাকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন সেটি প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি।