আনসার সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন জামায়াত নেতা

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউশা ইউনিয়নে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম শামসুল ইসলাম (Shamsul Islam)-এর বিরুদ্ধে নারীঘটিত অনৈতিক সম্পর্কের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি স্থানীয় আনসার সদস্য রুবেল হোসেন (Rubel Hossain)-এর স্ত্রী লামিয়া আশরাফীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং একপর্যায়ে তাকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ খবর জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, শামসুল ইসলাম উত্তর সোনাদহ জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকায় বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে তার ওঠাবসা ছিল নিয়মিত। অভিযোগ রয়েছে, এই ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়েই তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।

ভুক্তভোগী আনসার সদস্য রুবেল হোসেন আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘শামসুল ইসলামের কারণে আমার সংসার ভেঙে গেছে। ধর্মীয় নেতার পরিচয়ে তিনি আমাদের পরিবারের সঙ্গে মিশতেন। আমি এই ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।’

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হামিদ ঘটনার সামাজিক প্রভাব তুলে ধরে বলেন, ‘এটি শুধু একটি পরিবারের সমস্যা নয়, বরং পুরো সমাজ এর ক্ষতির শিকার হয়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।’

অভিযোগ রয়েছে, শামসুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে গোপনে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি লামিয়া আশরাফীকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে লামিয়া স্বামী রুবেল হোসেনকে তালাক দিয়ে শামসুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে করেন।

এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুন ফেরদৌস (Jannatun Ferdous) জানান, ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। বর্তমানে তদন্ত চলছে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা মনে করছেন, এ ঘটনা শুধু পারিবারিক সংকট নয়, বরং সমাজের মূল্যবোধ ও ধর্মীয় নেতৃত্বের নৈতিকতার প্রশ্নও সামনে এনেছে। তারা প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *