অন্তঃসত্ত্বা মাদ্রাসাছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, আটক জামাল উদ্দিন ওই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা বলছেন, আগে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও ৫ আগস্টের পর জামাল উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেয়। পাশাপাশি ঠুনঠুনিয়া মসজিদের ক্যাশিয়ারের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। ঘটনার পর মসজিদের দায়িত্ব থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত শনিবার রাতে ভুক্তভোগীর নানি বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা করলে রাতেই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নে অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মায়ের মৃত্যুর পর মাদ্রাসার ওই ছাত্রী ছোট থেকেই নানার বাড়িতে বসবাস করেন। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন।

গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ওই ছাত্রী অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ফ্রিজ থেকে মুরগির মাংস আনতে যান। এ সময় জামাল বাড়িতে লোকজন না থাকায় ছাত্রীকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে জামাল।

পরে এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করে জামাল উদ্দিন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সালিশও হয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি জামাল উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তার স্ত্রী ও ভাইসহ অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। গত ১৪ জুন সকালে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। মীমাংসার আশ্বাসে পরে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবার। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ওই ছাত্রী বিচার না পাওয়ায় তার নানি মামলা করলে রাতেই পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে জানতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হোসাইনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। এজাহারে জামাল উদ্দিন ছাড়াও আরও তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি মুসা মিয়া জানান, আসামি জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *