এক মুরগিকে কেন্দ্র করে নাতির দায়ের কোপে দাদি খু’-ন, আটক ৩

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মুরগি খুঁজতে গিয়ে প্রাণ দিতে হলো এক নারীকে। মাত্র একটি মুরগিকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ এমন ভয়াবহ রূপ নিল যে, শেষ পর্যন্ত দায়ের কোপে খুন হতে হলো মোছা রৌশনারা বেগমকে। পুলিশ ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত রৌশনারা বেগম (৫০) ওই গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী। পরিবারের দাবি, রৌশনারাদের সঙ্গে প্রতিবেশী মোস্তুফা মিয়ার পরিবারের দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল। সেদিন সন্ধ্যায় রৌশনারার একটি মুরগি ঘরে না ফিরলে তিনি খুঁজতে খুঁজতে প্রতিবেশীর বাড়ির দিকে যান। এসময় মোস্তুফা মিয়া, তাঁর মা সালেমা বেগম ও পরিবারের অন্যরা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে হঠাৎ মোস্তুফার ছোট ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২১) হাতে দা নিয়ে ছুটে এসে রৌশনারার ঘাড়ে সজোরে কোপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পুত্রবধূ হাফসা আক্তার জানান, “শাশুড়ি সন্ধ্যা হয়ে গেলে মুরগি খুঁজছিলেন। প্রতিবেশী এক চাচি জানান, মুরগিটি মোস্তুফাদের ঘরের পেছনের কলাগাছের কাছে আছে। শাশুড়ি সেখানে গেলে মোস্তুফার ছেলে দা দিয়ে কোপ দেন।” তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায় হারুয়া ও শিমুলতলী এলাকায়। অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন, তাঁর বাবা মোস্তুফা মিয়া (৪৮) এবং বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেন (২৪)-কে আটক করা হয়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান জানান, “হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বঁটি ও লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *