জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণচেষ্টার’ মামলা, পুলিশকে হুশিয়ারি এমপি প্রার্থীর

একজন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলাকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ দাবি করে, সেই মামলার তদন্ত নিয়েও পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকির সুরে কথা বলেছেন নজরুল ইসলাম (Nazrul Islam) নামের একজন সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী।

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১ আসনের এমপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার নবাবগঞ্জে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি দাবি করেন, “তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়া হয়েছে।” অথচ মামলাটি করা হয়েছে নবাবগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি ও মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে—যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ধর্ষণচেষ্টার মতো গুরুতর অপরাধের।

এই সমাবেশে নজরুল ইসলাম, যিনি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন, সরাসরি পুলিশকে বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলাম। বলেছি, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে দায়ের করা অভিযোগ গ্রহণ করলে ফল ভালো হবে না।”

তিনি অভিযোগ করেন, “রাতের অন্ধকারে টাকার বিনিময়ে এক মহলের ইশারায় একজন আলেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।” এই বক্তব্যে তিনি একদিকে অভিযোগকারীকে অবিশ্বাসযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করছেন, অন্যদিকে ধর্ষণচেষ্টার মতো একটি গুরুতর অপরাধের অভিযোগকেই মিথ্যা দাবি করে মামলাকে বাতিলের দাবি জানান।

সমাবেশে নজরুল ইসলাম আরও বলেন, “রাজনৈতিক মাঠ শান্ত আছে, শান্ত থাকতে দিন। না হলে পরিণতি ভালো হবে না।” এই ধরনের বক্তব্য অনেকেই হুমকিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী বলেই বিবেচনা করছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ইব্রাহিম খলিল। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত-শিবিরের বহু নেতা-কর্মী ও সমর্থক, যারা মামলার প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন।

ধর্ষণচেষ্টার মতো অভিযোগে মামলা হলে তা তদন্তের মাধ্যমে বিচার হওয়ার কথা। কিন্তু মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনার বদলে রাজনীতিকরণ এবং হুমকি দিয়ে পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা সমাজে যেমন বিভ্রান্তি ছড়ায়, তেমনি আইনের শাসনের পথেও বাধা তৈরি করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *