‘জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেই দায়িত্ব শেষ নয়, বরং সংস্কার বাস্তবায়নই এখন মূল চ্যালেঞ্জ’—এমন মন্তব্য করেছেন ড. আলী রীয়াজ (Dr. Ali Riaz), জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (National Consensus Commission)-এর সহ-সভাপতি।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন তিনি। ড. রীয়াজ বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আজ চতুর্থ সভা। আমরা প্রক্রিয়ায় অনুঘটকের ভূমিকা রাখছি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে ইতোমধ্যেই কিছু প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।”
এর আগে ছয়টি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, কমিশন এবার একাধিক প্রস্তাবনা তৈরি করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলে সেই সুপারিশগুলো সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, “শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোরই। যদি ঐকমত্য তৈরি হয়, তাহলে দ্রুততার সঙ্গে তা কার্যকর করা সম্ভব হবে।”
বৈঠকের আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও তাঁর আলোচনা হয়েছে বলে জানান ড. রীয়াজ। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস (Dr. Yunus) তাগিদ দিয়েছেন যেন এই সনদটি সবার স্বাক্ষরিত একটি রাজনৈতিক দলিল হিসেবে তৈরি হয়। কারা স্বাক্ষর করবেন, তাদের নামও সেই দলিলে যুক্ত থাকবে।”
তিনি আরও জানান, ১৫ অক্টোবরের কাছাকাছি সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই সনদের স্বাক্ষর প্রক্রিয়া শেষ করতে চান কমিশন। “সামনে নির্বাচন, তাই সবার ব্যস্ততা আছে। আমরা চাই ১৫ অক্টোবরের আগেই সব শেষ করতে,” বলেন আলী রীয়াজ।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হয়, তবে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আর নতুন করে বসার প্রয়োজন হবে না বলেও জানান তিনি। তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্ব এখন অর্পিত। শুধু সনদে স্বাক্ষর করলেই দায় শেষ হবে না—এই সংস্কার বাস্তবায়ন করাটাই আসল কাজ।”