নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ: রাশেদ খান

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সবগুলো—মোট ৩০০টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে গণঅধিকার পরিষদ (Gono Odhikar Parishad)। রোববার রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (Rashed Khan)।

রাশেদ খান বলেন, “৩০০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা মনে করি, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম নির্বাচনী পরিবেশ অপরিহার্য। কিন্তু সরকার এখনো সে বিষয়ে কোনো মনোযোগ দিচ্ছে না।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “দলের শীর্ষ নেতা নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur) সহ শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, যা সরকারের সদিচ্ছার অভাবের প্রমাণ।” তাঁর প্রশ্ন—“সরকার যদি এসব ঘটনার বিচারই না করতে পারে, তাহলে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করবে কীভাবে?”

দলীয় প্রস্তুতি প্রসঙ্গে রাশেদ জানান, গণঅধিকার পরিষদ ইতোমধ্যে ৫০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে এবং আরও ১০০টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক জোটে যাচ্ছি না, তবে সমমনা শক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।”

নির্বাচন কমিশনের কার্যক্ষমতা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেন, “কমিশনের নিজস্ব প্রশাসনিক শক্তি বা জনবল নেই। মাঠপর্যায়ে এখনো পুলিশ, প্রশাসন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী দোসরদের দাপট চলছে। তাই নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু ভোট আয়োজন অসম্ভব।”

তবে তিনি কমিশনের সদিচ্ছা সম্পর্কেও আশাবাদী মন্তব্য করেন—“নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা আমরা দেখতে পাচ্ছি এবং তাদের ওপর আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু যদি রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনকে সহযোগিতা না করে, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন বাস্তবে সম্ভব নয়।”

দলটির এই পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনি ঘোষণা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, গণঅধিকার পরিষদের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দলটির আত্মবিশ্বাস, সংগঠনগত প্রস্তুতি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতিকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *