গণভোটের সময় ও প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো: সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে গণভোটের সময়সীমা ও প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত বৈঠক শেষে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ (Professor Ali Riaz) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “আজকের বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ হলেও কমিশনের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আদেশ জারি করে গণভোট আয়োজন করতে হবে। সেখানে দুটি প্রশ্ন থাকবে—একটি হবে যেখানে ঐকমত্য হয়েছে, আরেকটি থাকবে যেখানে ভিন্নমত বা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে।”

অধ্যাপক রীয়াজ আরও জানান, আগামী সংসদ তার নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জুলাই সনদের সংশোধনসমূহ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করবে। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর নানা দৃষ্টিভঙ্গি আছে। সেগুলো সমন্বয় করে দুয়েকদিনের মধ্যেই সরকারকে প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। আগামী ১৫ বা ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ঐতিহাসিক দলিল স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান হতে পারে।”

তিনি আরও জানান, ১৮ থেকে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দীর্ঘ আলোচনার পর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা খোলামেলা মতামত দিয়েছেন। অধিকাংশ বিষয়ে তারা একমত হলেও, গণভোট কবে ও কীভাবে হবে, তা নিয়ে কিছু মতভেদ রয়ে গেছে।”

তিনি যোগ করেন, “গণভোটের কাঠামো ও প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতেও আলোচনা চলবে। এরপরই প্রস্তাব চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠানো হবে।”

অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা ভিন্নমতের অংশগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশনের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে নেওয়া হবে। তিনি জানান, “দুয়েকদিনের মধ্যে সব আলোচনা শেষ করে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের তারিখ নির্ধারণের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *