আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ (Major General Kabir Ahmad)-কে আটক করতে দেশের সকল সীমান্ত, স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে ‘ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামরিক সদস্যদের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান (Major General Md. Hakimuzzaman)। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে সবাই সেনাবাহিনীর ডাকে সাড়া দিলেও একমাত্র মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ যোগাযোগে ব্যর্থ হন।
হাকিমুজ্জামান জানান, “৯ অক্টোবর সকালে কবীর আহাম্মদ বাসা থেকে বের হন এক আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে, কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। এরপর পরিবারও তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি।”
পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে ১০ অক্টোবর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে সেনাবাহিনী। এরপরই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সহায়তায় কবীর আহাম্মদ যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ডিজিএফআই (DGFI), এনএসআই (NSI) ও বিজিবি (BGB)-কে জানিয়ে দিয়েছি যেন তিনি দেশের বাইরে যেতে না পারেন। আমি নিজেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি।”
এছাড়া, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়ও সেনা সদস্য পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি দেশ ত্যাগের চেষ্টা করতে পারেন বলেই আগাম এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সামরিক সচিব ছিলেন। এর আগে তিনি ডিজিএফআই-এর পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন।