দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে স্বাক্ষরিত হলো ঐতিহাসিক জুলাই সনদ। এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের অনুপস্থিতি তার মনে রেখেছে আক্ষেপের ছোঁয়া।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সনদ স্বাক্ষরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “খুবই ভালো লাগছে। অনেক মাস ধরে অনেক আলোচনার পর আজ একটা বিরাট অনুষ্ঠান হলো। আজ আমাদের জুলাই সনদের কনটেন্টটা ঠিক হলো।”
তিনি জানান, এই সনদ নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে আলোচনার পর একটি দৃশ্যমান রূপরেখা তৈরি হওয়ায় তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য ইতিবাচক সংকেত।
তবে এমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–র ছাত্রনেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক নজরুল। তিনি বলেন, “তবে আমার আরও ভালো লাগত যদি এনসিপির যারা আমাদের ছাত্রনেতা আছেন—জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন—তারা থাকতেন।”
এনসিপি ছাত্রনেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি জানান, “ওনারা বলেছেন যে আমাদের ঐকমত্য কমিশন আরও ১৫ দিন ফাংশন করবে। এই সময়ের মধ্যে তারা বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করবেন। আমি একজনের বক্তব্য দেখেছি—যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে ওনারা পরেও স্বাক্ষর দিতে পারবেন।”
সবাইকে নিয়ে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি যোগ করেন, “সবাই মিলে করতে পারলে এটা আরও ভালো হতো।”
তার এই মন্তব্যে স্পষ্ট, রাজনৈতিক ঐকমত্যের পথে জুলাই সনদ এক বড় পদক্ষেপ হলেও, এখনো সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তির জায়গায় পৌঁছাতে কিছু দূর বাকি।