রাজনীতিতে মিত্র-শত্রু বিভ্রান্তি: এনসিপি নেতৃত্বের কৌশলগত ভ্রান্তি ও শিক্ষা

রাজনীতিতে শত্রু চিনে নেওয়া যতটা সহজ, মিত্র চেনা ততটাই কঠিন। কারণ শত্রু মুখোমুখি আসে, কিন্তু ভুল মিত্র আসে হাসিমুখে, কাব্যের ছদ্মবেশে। এনসিপি’র নাহিদ ও হাসনাতদের আজকের কর্মকান্ড আর অবস্থান সেটাই প্রমাণ করে।

মাত্র মাসখানেক আগেও তারা কখনো ব্যারিস্টার ফুয়াদদের ‘কবিতা রাজনীতি’-তে মুগ্ধ হয়ে আবার কখনো জামায়াতের লোকবল বলীয়ান হয়ে, আবার কখনো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মতো আচরণ করা কিছু অনলাইন এক্টিভিস্টদের পাতা ফাঁদেই পা দিয়ে কে প্রকৃত মিত্র, কে কৌশলী প্রতিদ্বন্দ্বী—তা বুঝে উঠতে পারেননি।
আজ যখন সেই ফুয়াদ নিজেই কবিতা বাদ দিয়ে জুলাই সনদে গোলাম পারওয়ারদের সঙ্গে স্বাক্ষর করছেন, তখন নাহিদরা বাস্তব রাজনীতির মেধাতালিকা থেকে কয়েক ধাপ পিছিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে খুব কমই আছেন যারা নাহিদ-হাসনাতদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শুভকামনা রাখেননি। তাদেরকে মনে করা হয়েছিল সম্ভাবনাময় তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক। ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে একটি বাংলাদেশ পন্থী দলের যখন খুবই প্রয়োজন, তখন এই তরুণদেরকে মনে করা হয়েছেন সেই শূন্যস্থান পূরণের কান্ডারি হিসাবে। কিন্তু রাজনীতির মুনাফেক চক্রের পাল্লায় পড়ে, ভুল পরামর্শে তারা নিজেদের সম্ভাবনাকে নিজেরাই ক্ষয় করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। একের পর এক মুনাফেক চক্রের পাল্লায় পরে সেই বিএনপিকেই ‘ভিলেন’ বানাতে সঙ্গবদ্ধ ভাবেই মাঠে নামে এনসিপি’র অপরিপক্ক নেতারা। আর যার খেসারত এখন তাদের দিতে হচ্ছে।

রাজনীতি শেষ পর্যন্ত আদর্শের পাশাপাশি কৌশলের খেলা।
এখানে আবেগ নয়, বিচক্ষণতাই টিকে থাকে।
যে সময়মতো মিত্র-শত্রু চিনতে পারে না,
সে রাজনীতির রেইস থেকে ছিটকে পড়ে—ইতিহাসের প্রান্তে গিয়ে ঠাঁই পায়, উদাহরণ হিসেবে।

শেষকথা স্পষ্ট:
রাজনীতির প্রাণ হলো বিশ্বাস, কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস হতে পারে সর্বনাশের চাবিকাঠি।
রাজনীতি টিকে থাকে বিবেচনা, কৌশল ও প্রজ্ঞার ভারসাম্যে—not just hopeful intentions but clear, strategic thinking.

— ফেসবুক পোস্ট থেকে সংকলিত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *