“এটা বিচক্ষণতার অভাব”: এনসিপির অনুপস্থিতি নিয়ে মির্জা ফখরুলের হতাশা

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরল ঐক্যের এক মুহূর্ত—ঠিক সেই সময়ে অনুপস্থিত ছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (Nationalist Citizen Party, NCP)। এই অনুপস্থিতিকে ভুল বোঝাবুঝি এবং “বিচক্ষণতার অভাব” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি (BNP) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এনসিপির অংশ না হওয়াটা দুঃখজনক এবং এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তাদের থাকা উচিত ছিল।

মির্জা ফখরুল জানান, “আমাদের সাথে আলোচনায়, ঐকমত্য কমিশনে তারা প্রায় সব ব্যাপারে পজিটিভ ছিল। যে ব্যাপারটাতে সমস্যা ছিল, সেটা আলোচনা করে সমাধান করা যেতো। আমি মনে করি, এটা বিচক্ষণতার অভাব। নাহলে তারা অবশ্যই এটা সই করতো আজকে।”

তবে তিনি এটাকে বিভাজন বা স্থায়ী সংকট হিসেবে দেখছেন না। তার মতে, এনসিপির এই সিদ্ধান্ত ‘ভুল বোঝাবুঝির’ ফল, এবং দলটি ভবিষ্যতে সঠিক পথে ফিরে আসবে। “তারা ভুল বুঝেছে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি তারা ফিরে আসবে,” বলেন ফখরুল।

জুলাই সনদে এনসিপির মতো একটি দলের না থাকা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এনসিপি হয়তো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক সুযোগ হারাল। অপরদিকে, ফখরুলের মন্তব্যে স্পষ্ট, বিএনপি এখনো চায় এনসিপি পুনরায় আলোচনায় ফিরে আসুক।

এই প্রেক্ষাপটে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য রাজনীতির কৌশলগত গভীরতা এবং ঐক্যের প্রয়োজনীয়তাকে সামনে এনেছে। তার মতে, “জাতির প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সব দল এক হয়ে কাজ করতে পারে”—এটাই আজকের দিনের মূল বার্তা। এনসিপির এই বার্তাকে গ্রহণ করতে ব্যর্থ হওয়াটাই, তার মতে, তাদের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *