“জুলাই সনদে সই না করা দলগুলোও স্বাক্ষর করবে”

জুলাই জাতীয় সনদে সই না করা রাজনৈতিক দলগুলোও শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করবে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি (BNP)-এর স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ (Salahuddin Ahmed)। তিনি মনে করেন, এই বিষয়টি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। সম্প্রতি সময় সংবাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাচনের দিন গণভোট হলে রাষ্ট্রের ব্যয় কমবে, আর ভোটার উপস্থিতিও বাড়বে।” তাঁর মতে, গণভোট হলে নির্বাচিত সংসদ জুলাই সনদের বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে, যা দেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

দীর্ঘ সাত মাসের আলোচনা শেষে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর ৮৪টি প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত হয় জুলাই জাতীয় সনদ। নানা মতপার্থক্য ও বিতর্ক সত্ত্বেও ২৬টি দল শেষ পর্যন্ত এই ঐতিহাসিক দলিলে সই করে। তবে এনসিপি (NCP)সহ কয়েকটি বাম দল এখনো সই করেনি।

এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের অভিমত, “যারা এখনো সই করেননি, তারা সময় নিয়ে সই করবেন। তারা এমন কোনো অবস্থান নেননি যে কখনোই সই করবেন না। বলেছেন, আগে সনদের বিষয়বস্তু দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি নিশ্চিত, তারা সুযোগ বুঝে স্বাক্ষর করবেন।” তিনি আরও যোগ করেন, “এতে জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না।”

গণভোট নিয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দলেরই অবস্থান এক—নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজন করা হোক। কেবল দুটি দল এ প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে। সালাহউদ্দিনের মতে, “একই দিনে ভোট হলে ব্যয় কমবে, আর ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়বে।”

তিনি বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদ একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। এটি বাস্তবায়নে সবাই অঙ্গীকারাবদ্ধ। আইনগত ভিত্তি দিতে হলে গণভোট আয়োজন জরুরি। এখন নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের সময় নেই, বরং নির্বাচনের দিন আলাদা ব্যালটে গণভোট নেওয়া হলে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়বে।”

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক স্পষ্ট করে দেন, কোনো পক্ষ যদি নতুন দাবি তুলে নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা করে, তবে দল সেটি কোনোভাবেই মেনে নেবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *