জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আলী রীয়াজ (Ali Riaz) বলেছেন, জুলাই মাসে প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য অনুষ্ঠিতব্য গণভোটে যদি ‘না’ জয়ী হয়, তবে সেটিই জনগণের চূড়ান্ত রায় হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণভোটে সংস্কারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে কী হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, “গণভোটে পাস না হলে গণভোট পাস হবে না। তার মানে জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।”
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক উদাহরণ টানেন লাতিন আমেরিকার দেশ চিলি (Chile)-এর। তিনি বলেন, “চিলিতে সংবিধান নিয়ে দুইবার গণভোট হয়েছিল। প্রথমবার একটি নতুন সংবিধান জনগণের সামনে দেওয়া হয়, কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়। কেউ কেউ বলেছিলেন, প্রস্তাবিত সংবিধানটি হয়তো অনেক বেশি দক্ষিণপন্থি বা বামপন্থি হয়ে গিয়েছিল।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এরপর আবার সেই সংবিধান সংশোধন-সংযোজন করে দ্বিতীয়বার গণভোটে দেওয়া হয়। কিন্তু সেটিও ব্যর্থ হয়। অর্থাৎ, জনগণ গ্রহণ করেননি। তাই আমি আবারও বলছি—জনগণের ওপর আস্থা রাখুন।”
আলী রীয়াজ বলেন, “প্রত্যেকেরই নিজস্ব অবস্থান থাকতে পারে। কেউ ভোট দেবেন, কেউ হয়তো দেবেন না। কিন্তু কে জিতবে বা হারবে—এই হিসাব আগে থেকে করা ঠিক নয়। কারণ গণভোটের মূল বিষয়টাই হলো জনগণের রায়কে মেনে নেওয়া।”


