অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)–কে উদ্দেশ করে কঠোর বার্তা দিয়েছেন বিএনপির (BNP) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস, আপনি জনগণের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেটুকু সংস্কার দরকার, সেটুকু করে নির্বাচন দেবেন। এর বাইরে গেলে, ব্যত্যয় হলে তার দায়-দায়িত্ব নিতে হবে আপনার সরকারকে।”
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বক্তব্যে তিনি সম্প্রতি ঘোষিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের (National Consensus Commission) সুপারিশ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, “গতকাল ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে অবাক বিস্ময়ে দেখলাম—বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমাদের নোট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি সনদে ছিল। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এসব দ্রুত সংস্কার করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংবিধান, নির্বাচন ও রাষ্ট্র কাঠামোতে যে পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে, সেসব বাস্তবায়ন হবে জনগণের ভোটে গঠিত একটি গ্রহণযোগ্য সংসদে। অতএব, সঠিক নির্বাচনের আগে কোনো একতরফা সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না।”
নির্বাচন নিয়ে সময়ক্ষেপণ ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে তা দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ার করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “নির্বাচন যত দেরিতে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদ ততই শক্তিশালী হচ্ছে। যারা দেশে অ্যানার্কি (নৈরাজ্য) দেখতে চায়, তারাই নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।”


